রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বহুল আলোচিত শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে শিক্ষক চামেলির গ্রাম আদালতে ১ হাজার টাকা অর্থ দন্ড। তবে তার নামে দায়ের কৃত বিভাগীয় মামলাটি দামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, উপজেলার ঘুড়কা ইউনিয়নের কালিকাপুর নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শারীরিক অসুস্থতার কারনে স্বেচ্ছায় দায়িত্ব ছেড়ে দিলে উক্ত পদটি শুন্য হয়ে পড়ে। সরকারি বিধি অনুযায়ী ঐ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক শেফালী খাতুনের উপর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব অর্পিত হয়। বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সকল নির্দেশ মেনে চললেও এতে বাদসাঁধে প্রভাব শালী বিএনপির নেতার স্ত্রী শিক্ষক চামেলি খাতুন। তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ অপেক্ষা করে বিদ্যালয়টি সুস্থ্যভাবে পরিচলনার ক্ষেত্রে নানামুখী বাঁধার সৃষ্টি করতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে ২১/০৮/২২ ইং তারিখে বিদ্যালয়ে পাঠদান চলাকালীন সময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে চামেলি হঠাৎ করে চটে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেফালীর উপর চড়াও হয়ে শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে লাঞ্ছিত করে। এঘটনায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। অপরদিকে সলংগা থানায় আরও একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। লাঞ্ছিত করার ঘটনাটি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তদন্তকারি পুলিশ কর্মকর্তা মামলাটি কোটে প্রেরণ করে। বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট মামলাটি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ঘুড়কা ইউনিয়ন গ্রাম আদালতে প্রেরণ করে। গ্রাম আদালত থেকে চামেলিকে একাধিক নোটিশ করে তাকে হাজির না পাওয়ায় আদালত অবমাননার দায়ে ১ হাজার টাকা অর্থ দন্ড ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের হাতধরে মাপনেয়ার জন্য গ্রাম আদালত হতে রায় প্রদান করা হয়। অপরদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসে দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগটি সহকারী শিক্ষা অফিসারের তদন্তে লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা অফিসে প্রেরন করে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শিক্ষক চামেলির বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের বিষয়ে সুপারিশ করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রেরন করে। গ্রাম আদালতে শিক্ষক চামেলির অর্থ দন্ড হলেও বিভাগীয় মামলাটি আলোর মুখ দেখছেনা। মামলাটি দীর্ঘ দিন ধরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ফাইলে বন্ধি থাকায় এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আপেল মাহমুদ বলেন বিভাগীয় ব্যবস্থার জন্য প্রতিবেদটি জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসে প্রেরন করা হয়েছে।
Leave a Reply