মো. রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে জমিজমার বিরোধে কহিনুর বেগম(৫৫) নামে এক গৃহবধূর হাত পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) উপজেলার ৯নং নাজিরপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড ছোট ডালিমা গ্রামে ওই গৃবধূর ওপর নির্যাতন চালায় তার ভাসুর সুলতান রাঢ়ী গং। গুরুতর আহত গৃহবধূ কহিনুর বেগম ওই এলাকার রত্তন রাঢ়ী’র স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত সুলতান রাঢ়ী ও রত্তন রাঢ়ী সম্পর্কে আপন ভাই। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছে। একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও কোন সুরাহা হয়নি। ঘটনার দিন সকালে রত্তন রাঢ়ী ও তার স্ত্রী ভুক্তভোগী কহিনুর বেগম তাদের অংশের জায়গায় সুপারি চারা রোপন করতে গেলে বড় ভাই সুলতান রাঢ়ী ও তার স্ত্রী আমেনা বেগম গালিগালাজ শুরু করেন। রত্তন রাঢ়ী এর প্রতিবাদ করেন এবং একপর্যায়ে রত্তন রাঢ়ী’র স্ত্রী কহিনুর বেগমকে ভাসুর সুলতান রাঢ়ী গং টেনে হিঁচড়ে ঘরে নিয়ে গামছা দিয়ে হাত পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতন চালায়।
প্রতক্ষদর্শী শাহিনুর বেগম বলেন, চুন্নু রাঢ়ী এসে রত্তন রাঢ়ী’র স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে সে পড়ে যায়। এরপর তাকে চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে ঘরে নিয়ে আটকে মারধর করেন।
অভিযুক্ত সুলতান রাঢ়ী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা শুধু বেঁধে রেখেছি, কোন মারধর করিনি। এতে যদি আমার জেল ফাঁস হয় হোক।
অভিযুক্ত সুলতান রাঢ়ী’র নাতি ইমন বলেন, আমি কিছু করিনি। আমার মা, চাচী ও দাদী মিলে তাকে বেঁধে রেখে মারধর করেছেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাউফল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটি এম আরিচুল হক এই বাংলাদেশকে বলেন, এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply