বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ (১৯)। ধর্ষণে সহায়তাকারীসহ পাঁচজনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতেই গৌরনদী মডেল থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো– রেজাউল করিম পলাশ, শিশির হাওলাদার, ইয়াসিন মোল্লা, রেজাউল বেপারী ও সালমান সিকদার। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত আলাপের জন্য শনিবার সকালে পার্শ্ববর্তী গ্রামে সাবেক প্রাইভেট শিক্ষক রেজাউল করিম পলাশের বাড়িতে যান ওই নারী। প্রয়োজনীয় আলাপ সেরে বেলা ১১টার দিকে তিনি নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। পথিমধ্যে ওই এলাকার বখাটে ইয়াসিন মোল্লা, জিহাদ মৃধা ও হৃদয় চৌকিদার তাঁর পথরোধ করে পলাশের বাড়িতে যাওয়ার কারণ জানতে চায়। জবাব না দেওয়ায় তাঁকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকার একটি ছাপরা ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে তারা। এর পর পলাশের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি করে বখাটেরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা শিশির হাওলাদার, রেজাউল বেপারী ও সালমান সিকদারকে মোবাইল ফোনে ঘটনাস্থলে ডেকে আনে। দুপুর ১২টার দিকে ওই গৃহবধূকে নিয়ে পলাশের বাড়িতে যায় তারা। সেখানে পলাশের সহায়তায় তাঁর বাড়ির দোতলার একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে শিশির, রেজাউল ও সালমান। গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, স্থানীয় একজন বিষয়টি টের পেয়ে সরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেন। এর পর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার এবং ধর্ষণে সহায়তাকারী পলাশসহ পাঁচজনকে আটক করে। ছয় ধর্ষক, পলাশসহ সাতজনকে আসামি রাতে মামলা করেন ভুক্তভোগী। আটক পাঁচজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
Leave a Reply