কোনভাবেই যেন আটকানো যাচ্ছে না পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। নিয়ম-নীতির কোনো তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। বিরূপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশের উপর। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলমান থাকলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে হুমকির মুখে পড়তে পারে দেশের সর্ববৃহৎ মেগা প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শত বছরের ঐতিহ্যবাহী হার্ডিঞ্জ রেলব্রিজ। অবৈধভাবে কেউ যেন বালু উত্তোলনের করতে না পারে সে জন্য রয়েছে লক্ষীকুন্ডা নৌ পুলিশ ফাঁড়ি। অথচ তাঁরা না কি এ বিষয়ে কিছুই জানে না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাবনার ঈশ্বরদী, নাটোরের লালপুর, রাজশাহীর বাঘা, কুষ্টিয়া সদর, ভেড়ামারা ও কুমারখালী উপজেলার একাধিক জায়গা থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে একাধিক চক্র। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাঁধা দিতে গেলে ঝরছে তাজা প্রাণ। এছাড়া ড্রামট্রাক ও ট্রাক্টরের মাধ্যমে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালু পরিবহনের কারণে প্রায়ই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সড়ক।
সম্প্রতি ঈশ্বরদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় যুবলীগ কর্মী মনাকে গুলি করে হত্যার পর উত্তেজনা না কাটতেই নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালু পরিবহনের সময় ট্রাক্টরের ধাক্কায় শনিবার (২৪ জুন) দুপুরে অটোভ্যানে দুই নারী যাত্রী নিহত হয়েছেন। একেরপর এক এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না প্রশাসন। তাহলে কী বালু খেকো চক্রের সদস্যরা আইনের ঊর্ধ্বে? যদি তা না হয় তাহলে অতিদ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীকুন্ডা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমদাদুল হক বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসে নাই। বিষয়টি জানার জন্য রাজশাহীর নৌ পুলিশ সুুপারকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply