চুয়াডাঙ্গার ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্র আবু হরায়রা হত্যা মামলায় একজনকে ফাঁসির আদেশ ও ৫০ হাজার জরিমানা এবং দুইজনকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাসুদ আলী। ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত মোহাম্মদ মোমিন (২৩) চুয়াডাঙ্গা পৌরশহরের তালতলা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। ১৪ বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, তালতলা গ্রামের মোতালের হোসেনের ছেলে পারভেজ আহম্মেদ (২৮) ও জামাত আলীর ছেলে আশরাফুজ্জামান রিজন (৩০)। তবে রায় ঘোষণার সময় পারভেজ আহম্মেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৯শে জানুয়ারি বিকেলে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলা গ্রামের আব্দুল বারেকের একমাত্র ছেলে, ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আবু হুরায়রা প্রাইভেট পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয়। কয়েকদিন খোঁজাখুজি করেও তাকে না পেয়ে ২৫শে জানুয়ারি শিশু আবু হুরায়রার পিতা আব্দুল বারেক বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অত্যন্ত দক্ষ ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে মোমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ১৪ই ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে তালতলা কবরস্থানের একটি পুরাতন কবর থেকে শিশু আবু হুরায়রার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মামলা তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৪ই আগস্ট মোহাম্মদ মোমিন, পারভেজ আহম্মেদ ও আশরাফুজ্জামান রিজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক মিজানুর রহমান। ১৩জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সোমবার দুপুরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন আদালতের বিচারক।
Leave a Reply