সবকিছু অনলাইন হওয়ার পরও আবার স্বশরীরে গিয়ে সব কাজ করতে হয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। এজন্য তিনি আমলাদের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমলাতন্ত্রের বড় ধরণের সংস্কার দরকার। বুধবার (১৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ক কর্তৃপক্ষের (বিডা) কার্যালয়ে এক সেমিনারে আমলাতন্ত্রের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আইনের দোহাই দিয়ে সমস্যা জিইয়ে রাখা হয়। জনপ্রতিনিধিরা কিছু বললে আমলাতন্ত্র আইন দেখিয়ে দেয়। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের রূপরেখা ও বাস্তবায়নের এই সেমিনারের আয়োজন করে আইডিয়া ফাউন্ডেশন। সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, আইনি কাঠামো ও বিনিয়োগ করার পরও ডিজিটাল সিল চালু করতে পারেনি সরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জয় বলেছেন যে কোডিং প্রাইমারি লেভেলে বাধ্যতামূলক করার কথা। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের কোডিং শেখার ব্যবস্থা করা হয়নি। দেশে একটা ডিজিটাল স্বাক্ষর আইন আছে। এ বিষয়ে অবকাঠামো আছে, বিনিয়োগ আছে কিন্তু এখনো বাস্তবায়ন হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, আইনি কাঠামো ও লাইসেন্স দেয়ার পরও ডিজিটাল সিল চালু করতে পারেনি সরকার। বেসরকারি খাতে তিন-চারটি কোম্পানি বিনিয়োগও করেছে। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার জন্য বিন্দুমাত্র অগ্রগতি নেই। সবকিছু অনলাইন হওয়ার পরও আবার স্বশরীরে গিয়ে সব কাজ করতে হয়। দেশে আমলাতন্ত্রে পরিবর্তন দরকার জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, আমরা কিছু বললে আমলাতন্ত্র আইন দেখিয়ে দেয়। মনে হয় যেন আমলারা তাদের ‘প্রটেকশনের’ জন্য আইন করে রাখে। এই সমস্যার সমাধানে কাজ করতে পারে এই (স্মার্ট) নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্ক সরকারি বর্তমান আমলা, সাবেক আমলা এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করতে পারে। পদোন্নতি মেধাভিত্তিক হচ্ছে না এমন প্রশ্ন তুললে নানা যুক্তি তুলে ধরা হয়। আইন তৈরির সময়ই আমলারা নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন বলেও মন্তব্য করেন সালমান এফ রহমান। অবস্থার উত্তরণে সাবেক আমলাদেরও কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও গবেষণা বাড়ানোর তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা।
Leave a Reply