মাহাবুবুর রহমান জিসান, লক্ষীপুর জেলা প্রতিনিধি: প্রায় অর্ধশত মুমূর্ষু রোগীদের জীবন বাঁচাতে বিনামূল্যে রক্ত দিয়ে সারা ফেলেছেন। ডাক্তার আব্দুল হক মেমোরিয়াল কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ‘মুজাহিদুল ইসলাম সৌরভ’। প্রায় এক দশক আগেও মুমূর্ষ রোগীর রক্তের রক্তের প্রয়োজন হলেই, সংখ্যা জেঁকে বসতো স্বজনদের মনে, কোথায় মিলবে রক্ত! উপান্তর না পেয়ে অনেকেই ধারণা নিত পেশাদার রক্তদাতাদের কাছ থেকে। টাকা দিয়ে কেনা রক্ত রোগীর শরীরে প্রবেশ করিয়ে, রুগীর সাময়িক প্রোয়জন মেটালেও মনে ভর করতো আরেক দুশ্চিন্তা! রোগ সারাতে আরেক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে না তো.? রক্ত নিয়ে দুশ্চিন্তা করা এখন অতীত। রক্তদাতা সৌরভ সারাক্ষণ অপেক্ষায় থাকেন একটি আহ্বানে ‘একজন মুমূর্ষ রোগীকে বাঁচাতে রক্তের প্রয়োজন’ ডাক পেলেই ছুটে চলেন তিনি কখনো নিজে আবার কখনো রক্তদানে আগ্রহী এমন কাউকে নিয়ে। যার সম্পূর্ণ খরচ বহন করেন তিনি নিজে। গত কয়েক মাসে তিনি রক্ত দিয়েছেন প্রায় অর্ধশত যতই দিন গড়াচ্ছে তার রক্তদানের সংখ্যা ততই বাড়ছে। মুমূর্ষ রোগীর জীবন বাঁচাতে বিনামূল্যে রক্ত দেওয়া এখন তার নিয়মিত রুটিনে পরিণত হয়েছে। মূলত তারই স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম লক্ষ্মীপুর জেলা জুড়ে বিস্তৃত। একক উদ্যেগে এমন বিনয়ী সেবা দান জেলায় নজিরবিহীন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন ‘কয়েক বছর আগে স্থানীয় এক বড় ভাইয়ের সাথে হাসপাতালে গেলে দেখতে পাই হাসপাতালে রক্তের প্রয়োজন এমন রোগীর স্বজনদের আর্তনাদ’ মূলত সেই থেকেই রক্তদানে অনুপ্রাণিত হয়ে তার এই পথচলা, তিনি আরো বলেন বিপদের মুহূর্তে মানুষের পাশে থাকাটা মনুষত্বের পরিচয় এবং ভবিষ্যতে আরো মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করব’। তিনি এজন্য নিজে প্রতিষ্ঠা করেছেন স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যার মাধ্যমে ও বিনামূল্য রক্ত পাচ্ছেন অনেক রোগী। এলাকাবাসী জানায় মানুষের জীবন বাঁচাতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রক্ত দিচ্ছেন সৌরভ, তারেই মহৎ কর্মকান্ডে আমরা সবাই গর্বিত। মুজাহিদুল ইসলাম সৌরভ এর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ৮ নং দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে।
Leave a Reply