দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। যার ফলে অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকেই। সেইসাথে অনেকেই বরণ করছেন অকাল পঙ্গুত্ব। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে অনেক পরিবার। কিন্তু কোনোভাবেই সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না। সঠিকভাবে ট্রাফিক আইন মেনে না চলার কারণেই সড়ক-মহাসড়কগুলোতে ঘটছে দুর্ঘটনা। গাড়ির চালক, পথচারীসহ সকলে যদি ট্রাফিক আইন সঠিকভাবে মেনে চলে তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা বিস্ময়কর কোনো ব্যাপার না। একটা কথা আমরা অনেকেই জানি যে, কোনো গাড়ির চালকই ইচ্ছাকৃতভাবে সড়কে একটা পিঁপড়াও হত্যা করেন না। কিন্তু অন্য গাড়ির সাথে প্রতিযোগিতা করার সময় কোনো নিয়মই মাথায় থাকে না। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। তাছাড়া রাস্তার এদিক-ওদিক না তাকিয়ে অন্যমনস্কভাবে রাস্তা পারাপার হওয়া পথচারীদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। যার কারণেও ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়া সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন অবৈধ গাড়ির চালকদের অধিকাংশই তোয়াক্কা করেন না কোন ধরনের ট্রাফিক আইনের। এ সমস্ত গাড়ির নাই কোনো সিগন্যাল লাইট। তিন চাকার গাড়ির সামনের চাকার মাঝখানে একটিমাত্র হেডলাইট। দূর থেকে দেখলে মনে হয় মোটরসাইকেল আসছে। কাছে আসার পর বোঝা যায় এটি তিন চাকার গাড়ি। এ সমস্ত কারণেও ঘটে সড়ক দুর্ঘটনা। এছাড়া ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, ওভারটেকিং প্রবণতা, সড়কে অবৈধ গাড়ির একচেটিয়া আধিপত্য, উঠতি বয়সী কিশোর-যুবকদের বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোসহ অন্যান্য কারণে ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। তাই আমাদের সকলের উচিৎ সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ট্রাফিক আইন সঠিকভাব মেনে চলা। সেইসাথে ইটভাটার মাটি বহনের কারণে মাটি যেন সড়কের উপরে পড়ে স্তূপ তৈরি না করে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউএনওদের সজাগ দৃষ্টি প্রয়োজন। কারণ অল্প একটু বৃষ্টি হলেই ওই সমস্ত সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। মিনিটে মিনিটে ঘটে ছোট-খাটো সড়ক দুর্ঘটনা।
Leave a Reply