মোঃ মাইনুল হক, বিশেষ প্রতিনিধি : সবকিছুই পাওয়া যায় টাকা দিলে নীলফামারী জেলা কারাগারে, বললেন জলঢাকা থেকে আসা দর্শনার্থী হারন আলী। তার মতে ১৫ দিন অন্তর অন্তর দর্শনার্থীদের সাথে কয়েদিদের সাক্ষাতের সময় থাকলেও টাকা দিলে প্রতিদিন দেখা করা সম্ভব। এইরকম অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলছে নীলফামারী জেলা কারাগারের রোজনামচা। এরমধ্যে কয়েদীর আত্মহত্যার চেষ্টা প্রমাণ করে দেয় সবকিছু। কারাগার সুত্রে জানা যায়, গত ৬জুলাই বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটায় কয়েদি দুলাল হোসেনের শারীরিক নির্যাতনের ফলে তীব্র ব্যাথা দেখা দেয়। কারাগার কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর সুস্থ না হলে তাকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। এবিষয়ে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আবুল আল হাজ্জাজ বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা। আমি রংপুরের বাড়িতে অবস্থান করছি। শুক্রবার দুপুরে সরজমিনে নীলফামারী হাসপাতালের এমারজেন্সি অফিসার ডাঃ মো. জুলফিকার আলী নবাব বলেন, তীব্র কোমরের ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন নীলফামারী সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের মিলের পাড় এলাকার মাছ ব্যবসায়ী এনামুল ওরফে এস্তামুলের পুত্র সাজাপ্রাপ্ত আসামি দুলাল হোসেন (৩২) প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পরও সুস্থ না হওয়ায়, আমরা রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করি এবং কারারক্ষীরা তাকে দ্রুত নিয়ে যায় কিছুক্ষণ পরেই রাত সাড়ে এগারোটায় রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে নিয়ে আসে। এবিষয়ে চিকিৎসাধীন কয়েদি দুলাল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি রক্ষীদের সামনে কথা বলতে ইতস্তত বোধ করেন। এবিষয়ে নীলফামারী কারাগারের জেলার আবুল নুর মোহাম্মদ রেজা বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। অনিয়মের বিষয়টি তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান। এদিকে নীলফামারী জেলা কারাগার নিয়ে নানান রকমের অভিযোগ দিনের পর দিন উঠলেও কোন রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি কর্তৃপক্ষ। মাদকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, টাকার বিনিময়ে গাঁজা, সিগারেট থেকে শুরু করে সবকিছুই পাওয়া যায় এই কারাগারে। জানতে চাইলে নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, এসব বিষয়ে অনেক কিছু শুনেছি এবং কারাগারে যা কিছু অনিয়ম হচ্ছে তার দেখার দায়িত্ব হলো কারা কর্তৃপক্ষের। তবে জেলায় কারাগারের যে কমিটি রয়েছে সেখানে বিষয়টি উপস্থাপন করবো।
Leave a Reply