গত আসরের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ইতালির কাছে হেরে অশ্রুসিক্ত চোখে বিদায় নিতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। সবশেষ ২০১২ সালে ইতালিয়ানদের বিপক্ষে জয়ের দেখা পায় ইংল্যান্ড। আর দেশটির মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ১৯৬১ সালে জিতেছিল তারা। অবশেষে দীর্ঘ ৬২ বছরের সেই আক্ষেপ ঘুচলো ইংলিশদের। বৃহস্পতিবার রাতে নেপলসের দিয়েগো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে ইতালির মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড। এ ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে ইংলিশরা। এদিন ম্যাচের শুরুতে ডেকলান রিসের গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। এরপর পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইংলিশ দলপতি কেন। ব্যবধান দ্বিগুনের পরের মিনিটেই ইংল্যান্ড পেতে পারত আরেকটি গোল। কিন্তু বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও অবিশ্বাস্যভাবে দূরের পোস্টে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন জ্যাক গ্রিলিশ। এমন সুবর্ণ সুযোগ হারিয়ে মাথায় হাত উঠে যায় ম্যানচেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডারের। লড়াইয়ে ফিরতে বিরতির পর চাপ বাড়ায় ইতালি। গোলও পেয়ে যায় তারা ৫৬তম মিনিটে। কোনাকুনি শটে গোলটি করেন আর্জেন্টিনায় জন্ম নেওয়া অভিষিক্ত ফরোয়ার্ড মাতেও রেতেগি। নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট বাকি থাকতে বড় ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। নিজেদের ডি-বক্সের বাইরে রেতেগিকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ইংলিশ ডিফেন্ডার লুক শ। তবে একজন কম নিয়েও বাকিটা সময় ভালোভাবেই কাটিয়ে দেয় তারা। একেবারে শেষ সময়ে একটা হাফ-চান্স পেয়েছিলেন রেতেগি। তবে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। কাঙ্ক্ষিত জয়ের আনন্দে বাছাই শুরু করে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইংল্যান্ডের জার্সিতে ওয়েইন রুনিকে টপকে গেছেন হ্যারি কেন। এখন পর্যন্ত ৮১ ম্যাচ খেলে ৫৪টি গোল করেছেন তিনি। অন্যদিকে ওয়েইন রুনির গোল ৫৩টি।