অক্টোবরের পর চলতি চলতি নভেম্বর মাসেও রেমিট্যান্সের গতি বেড়েছে। নভেম্বর মাসের প্রথম ১০ দিনে দেশে ৭৯ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ৫০ পয়সা হিসাবে)। এ হিসাবে প্রতিদিন রেমিট্যান্স এসেছে গড়ে ৭ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। রবিবার (১২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি নভেম্বরের প্রথম ১০ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪ কোটি ৯২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। পাশাপাশি বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে পৌঁছেছে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭২ কোটি ৩২ লাখ ৬০ হাজার ডলার এসেছে। এছাড়াও বিদেশি খাতের ব্যাংকের মাধ্যমে পাওয়া গেছে ২৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ২২ অক্টোবর থেকে অধিক হারে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা।ইতোমধ্যে প্রতি ডলারে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা কার্যকর করেছে সরকার। প্রণোদনা কার্যকর ছাড়াও বাড়তি আরও আড়াই শতাংশ ইনসেন্টিভ দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই মধ্যে তা বাস্তবায়ন করেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। ফলে মোট ৫ শতাংশ প্রণোদনা পাচ্ছেন প্রবাসীরা। এতেই মূলত রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। অন্যদিকে, ডলার সংকটের কারণে আমদানির দেনা শোধ করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। তাই সংকট মোকাবিলায় বাড়তি দামে প্রবাসী আয় কিনছে অনেক ব্যাংক। এ সুযোগে হঠাৎ করে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম ১২ থেকে ১৪ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো। ফলে চলতি মাসের শুরুতে অনেক ব্যাংক বাধ্য হয়ে প্রতি ডলার ১২৩ থেকে ১২৪ টাকায় প্রবাসী আয় কিনেছে। এমন অস্থির পরিস্থিতিতে ডলারের ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে রেমিট্যান্সের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে বিদায়ী অক্টোবরের দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার। চলতি মাসে চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে তা ছাড়িয়ে যাবে। এছাড়া গত সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৪ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার। সেই সঙ্গে আগস্টে পৌঁছেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।