মো. রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের রঙিন ঘরে ঠাঁই হয়েছে ৪২৩ গৃহ ও ভূমিহীন নিঃস্ব পরিবারের।
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বিশেষ উদ্যোগে পাঁকাঘর ও জমি পাওয়া সুবিধা বঞ্চিত পরিবারগুলো ফিরেছে জীবনধারা।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৩ ধাপে মোট আশ্রয়ণের ৪২৩টি ঘর তৈরি করে সুবিধা ভোগীদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্প -১ এ রয়েছে ৩’শ ঘর। প্রতিটি ঘর নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা। আশ্রয়ণ প্রকল্প – ২ এ নির্মিত ৫০টি ঘরের প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ১ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা এবং আশ্রয়ণ প্রকল্প – ৩ এ নির্মিত ৭৩ টি ঘরের প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মধ্যে শ্রীরামপুর ইউনিয়নের জামলায় ২৪ টি, আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের কদমতলায় ৪২ টি ও বাহেরচরে ৯ টি, মুরাদিয়া ইউনিয়নে ৩৫ টি ও পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে ১৩ টি ঘর খাস জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়াও জামলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে নামাজ আদায়ের জন্য একটি মসজিদ ও পানির সংকট নিরসনে আবাসন সংলগ্ন মুরাদিয়া নদীতে ২টি ঘাটলা নির্মাণ করা হয়েছে। এ সকল আবাসনে রয়েছে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, সুপেয় পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ। উত্তর মুরাদিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের পুকুরে মাছ চাষ করে নিজেদের চাহিদা পূরণ করে বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে পরিবার গুলো।
জামলা আবাসনের ৮নং ঘরে বসবাসরত ৭০ বছরের বৃদ্ধ শামসুল হক মোল্লা ও তার স্ত্রী সাফিয়া বেগম এই বাংলাদেশকে বলেন, আমার মূল বাড়ি উপজেলার পশ্চিম আঙ্গারিয়ায় ছিল। পায়রা নদীর ভাঙ্গনে সহায় সম্বল হারিয়ে রাস্তার পাশে অপরের জমিতে ছাপরা দিয়ে কোন রকম অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করতাম। মানবতার মা শেখ হাসিনা আমাগো ঘর দিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। তাঁর জন্য সব সময় দোয়া করি আল্লাহ যেন তাঁকে হেফাজতে রাখেন।
উত্তর মুরাদিয়া আশ্রয়ণে বসবাসরত লিটন হাওলাদারের স্ত্রী রেহেনা বেগম বলেন, প্রতিবন্ধি স্বামীকে নিয়ে কঠিন জীবন যাপন করতাম। শেখ হাসিনার উপহারের ঘর বদলে দিয়েছে আমাদের সংসার জীবন। আমরা সবাই খুশি।
এছাড়াও রবিবার ৫ নভেম্বর সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেকটি আশ্রয়ণের ঘরের আঙ্গিনায় বিভিন্ন রকমের শাক-সবজির ক্ষেত ও ফলমূলের বাগান। হাঁস মুরগি ও ছাগল পালন পালন করে নিজেদের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন বাসিন্দারা। পরিবার গুলোর সন্তানেরা স্কুল, মাদ্রাসা এমনকি কলেজে পড়াশোনা করছে।
এব্যাপারে দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি মোঃ আল ইমরান বলেন, ঘরগুলোতে কাঠের পরিবর্তে উন্নত মানের অ্যাংগেল, ইট ও টেকসই রঙিন টিন ব্যাবহার করা হয়েছে। পরিবারগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে।
Leave a Reply