গত ১৬ মে তীব্র পেটে ব্যথা নিয়ে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন বেলকুচি উপজেলার খুনি গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন আব্দুল মোতালেব। পরবর্তীতে চিকিৎসকেরা পেট ব্যথার কারণ অনুসন্ধানে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা করে তার পাকস্থলীর মধ্যে শক্ত বস্তু দেখতে পান। পরে এন্ডোস্কোপির ক্যামেরায় ধরা পরে তার পাকস্থলীতে একাধিক কলম থাকার বিষয়টি। পরে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার মো. জাহিদুল ইসলাম ও এন্ডোস্কপি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান এর নেতৃত্বে গত বৃহস্পতিবার সকালে প্রায় ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর ওই মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীর পেট থেকে বের করা হয় ১৫টি কলম। হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. আমিনুল ইসলাম খান জানান, রোগীটি প্রচণ্ড পেটে ব্যথা নিয়ে মেডিসিন ওয়ার্ডে প্রথমে ভর্তি হন। এরপর এন্ডোস্কপির মাধ্যমে তার পেটের ভেতরে পনেরোটি কলম দেখে আমরা সকলেই বিস্মিত হই। টানা তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আমরা কলমগুলো বের করতে সক্ষম হই। এখন তিনি বেশ ভাল আছেন। মানসিক ভারসাম্যহীন আব্দুল মোতালেবের মা জানান, ২০০০ সালে সে এসএসসি পাস করার পর থেকে পড়াশোনা করেনি। তারপর থেকে সে পড়াশোনা বাদ দিয়ে ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। সে বিভিন্ন সময় পেটে ব্যাথা অনুভব করতো। সবশেষ পেটে ব্যথা উঠলে তাকে নিয়ে আসা হয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আর এখানে ধরা পড়ে তার পেটের মধ্যে কলম থাকার ঘটনা। হাসপাতলটির সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এর আগে এন্ডোস্কপির মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেলে এক ব্যক্তির পেট থেকে মোবাইল বের করা হলেও একসঙ্গে পনেরোটি কলম বের করার মতো ঘটনা দেশে এটাই প্রথম। শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, এটা নিঃসন্দেহে আমাদের কাছে অনেক বড় ধরনের সাফল্য।
Leave a Reply