কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার অন্তর্গত বালুখালি কাস্টমস যেন নিয়মিত চাঁদা আদায়ের এক মহোৎসব। এইসব অপকর্ম নিয়ন্ত্রণ করে উক্ত কাস্টমসের সাবেক সিপাহি বর্তমান অফিসার সৈয়দ আবু রাসেল। জানা যায় এই আবু রাসেল এর বাবাও চাকরি করতেন উক্ত কাস্টমসে। বাবার আশির্বাদে চাকরি হয় অভিযুক্ত রাসেলের। পারিবারিক অবস্থা খারাপ থাকলেও ছেলে রাসেলের যোগদানের পর আর পিছনে থাকাতে হয়নি। যেন রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যায় অভিযুক্ত রাসেল। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, উখিয়ার বালুখালি কাস্টমসে প্রতিদিন ১০ লক্ষ টাকার উপর চাঁদা আদায়ের মহোৎসব হয়। কিন্তু এইগলোর বেশিরভাগই সরকারি ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে এই অসাধু কর্মকর্তা রাসেল তার নিকট আত্মীয়দের নিয়ে অবৈধভাবে আদায় করে ভাগবাটোয়ারা করে। প্রতিটি গাড়ি থেকে ৫০০-৬০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে অভিযুক্ত রাসেলের নেতৃত্বাধীন একটা টীম। এ বিষয়ে উক্ত কাস্টমসে থাকা বেসরকারি চাকরিজীবীগণ প্রতিবাদমূলক কথা বলতে গেলে তাদের সাথে আরো খারাপ আচরণ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠে আসে অভিযুক্ত রাসেলের বিরুদ্ধে। কিন্তু এত কিছুর পরও যেন দেখার কেউ নেই। শুধু এইখানে শেষ নই তার ক্ষমতার দাপট। জানা যায় এই অভিযুক্ত রাসেল নিয়মিত বার্মিজ গরু-মহিষ ব্যবসায়ীদের সাথে আতাত করে সরকারকে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নাটকীয় নিলামের নাম ভাঙিয়ে নিজের পকেট ভারী করছে। গত ১-২ মাস আগেও একবারে ১৮ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নাটকীয় নিলাম দিয়ে ছিল বলে জানা যায়। যেটা একটা স্হানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টালে গত ০৭-০৩-২৩ ইং তারিখে হেড লাইন ছিল “উখিয়ায় কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিলাম কারসাজির অভিযোগ। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।” উক্ত অভিযুক্ত রাসেল সামান্য বেতনের একজন কাস্টমস কর্মকর্তা হয়ে ডুলহাজারা আজিজ নগরে বর্তমানে তার নির্মাণাধীন আলিশান বাড়ি জনসাধারণের মনে নানা কৌতুহলের সৃষ্টি করেছেন। এত টাকা একটা বাড়ি পিছনে খরচ করা একটা সামান্য বেতনের কর্মকর্তার পক্ষে কেমনে সম্ভব এই প্রশ্ন আজ সর্বমহলে। এই বিষয়ে অভিযুক্ত রাসেলের সাথে ফোনে কথা বলা হলে সে সরাসরি লেনদেন করে নিউজ বন্ধ করার অনুরোধ জানাই। অভিযুক্ত রাসেলের কয়েকজন পরিচিতি ব্যক্তির অভিযোগ, রাসেলের এত সব দুর্নীতি ও অপকর্ম তার ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ কী আসলে জানেন না? না কি জেনেও দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন তারা? এই প্রশ্ন সবার।
Leave a Reply