মো. রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে বসত বাড়ির জমি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় কাঁটাতার দিয়ে বেড়া দিয়ে মারধর করে এক জেলে দম্পতিকে বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী দিদারুল আলম টুকু'র বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত টুকু ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক।
এদিকে ওই দম্পতি স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান ও ইউএন’র কাছে গিয়ে বিচার দিয়েও পায়নি কোন সুরাহা। উপজেলার ৯নং নাজিরপুর ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, প্রায় ১যুগ আগে কচুয়া গ্রামে ২৬ শতাংশ জমি কিনে জেলে দম্পতি মো. নান্নু প্যাদা (৪২) ও ইয়ানুর বেগম (৩৫) বসত বাড়ি করে আসছেন। কিন্তু কিছুদিন ধরে ওই দম্পতির বসত বাড়ির জমিটি দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন প্রতিবেশী দিদারুল আলম টুকু।
ভুক্তভোগী ইয়ানুর বেগম বলেন, ‘খেয়ে না খেয়ে টাকা জমিয়ে ২৬ শতাংশ জমি কিনে বাড়ি করেছি। কিন্তু এ জমিতে টুকু'র নজর পড়েছে। জোর জবরদস্তি করে জমি দখল করতে চায় সে। জমি বিক্রি করতে চাপ দিয়েছে। আমরা রাজি না হওয়ায় চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে মারধরে করে বাড়ি ছাড়া করেছে। প্রাণের ভয়ে ছেলে, স্বামী নিয়ে বাবার বাড়িতে ভাঙা ঘরে আশ্রয় নিয়েছি।’
ভয় আর শঙ্কা নিয়ে নান্নু বলেন, ‘তারা প্রভাবশালী। তাদের অনেক ক্ষমতা। আমরা গরিব মানুষ। আমাদের কথা কেউ শুনে না। প্রাণে বাঁচতে নিজের ঘর বাড়ি ছেড়ে এখন শ্বশুর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।’
স্থানীয় বাসিন্দা মো. অলিউল্লাহ বলেন, ‘অসহায় জেলে পরিবারের চলার পথ বন্ধ করে দিয়েছে তারা। মানবিক কারনে ওই পরিবারটির চলাচলের জন্য আমার জায়গা দিয়ে বিকল্প পথ খুলে দিয়েছি। সেই পথও বন্ধ করে দেয় তারা। বিষয়টি সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো সুরাহা হয়নি।
অভিযোগ অস্বীকার করে দিদারুল আলম টুকু বলেন, ওই জমি আমার কাছে বিক্রি করার কথা ছিল। তারা বিক্রি করেনি। পাশের জমি তো আমার। তাই আমার জমিতে আমি বেড়া দিয়েছি। আর তাদের মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার বিষয়টি অসত্য।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজী এই বাংলাদেশকে বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসিল্যান্ডকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি (এসিল্যান্ড ) সরেজমিনে তদন্ত করে এসেছেন। এবিষয়ে অতি শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।