মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: উন্নত প্রযুক্তির উৎকর্ষে পটুয়াখালীর দুমকীতে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ হা-ডু-ডু খেলা আজ বিলুপ্তির পথে। মোবাইলে আসক্ত হয়ে কিশোর, যুবকেরা আর আগেরকার দিনের মত বিকেলে খেলার মাঠে যায় না। অল্প কিছু কিশোর, যুবকদের মাঠে দেখা গেলেও তারা ক্রিকেট কিংবা ফুটবল নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
তবে উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের কলবাড়ি বাজারে ও তালুকদার বাজারের কতিপয় যুবকদের মাঝে মাঝে এ খেলার আয়োজন করতে দেখা যায়। সম্প্রতি তালতলী যুব সমাজও এ খেলার আয়োজন করে।
আমার এক হাত ও এক ভাঙ্গা এ খেলা উল্লেখ করে ঝালমুড়ি বিক্রেতা শ্রী সন্তোষ চন্দ্র ঘরামী বলেন, এ খেলাকে কেন্দ্র করে মাঝে মাঝে তুমুল বিতর্কসহ মারামারি হত।
উত্তর রাজাখালী গ্রামের তৎকালীন নামীদামী হাডুডু খেলোয়াড় জয়দেব হাওলাদার বলেন, আমাদের শৈশবে গ্রামের হাটবাজারে, রাস্তা-ঘাটে, বিদ্যালয়ের মাঠে, বাড়ির আঙিনায় এ খেলা খেলতাম। বিশেষ করে স্কুল শেষে বিকেল বেলা হাঁক ছেড়ে ডাক দিয়ে জড়ো হয়ে এবং মাঝে মাঝে এ পাড়া ওপাড়া টীম ধরে উৎসবের আমেজে এ খেলা খেলতাম।
স্মৃতি চারণ করে চরবয়েড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সিনিয়র শিক্ষক (শরীরচর্চা) আবদুর রাজ্জাক গাজী জানান, আগে ইউনিয়ন ও থানা অথবা মহকুমা পর্যায়ে বড় বড় হাডুডু খেলার আসর জমাতো। আমি রেফারি করতাম বিভিন্ন জায়গায়। এসব খেলায় বায়না করে নামীদামী খেলোয়াড়দের ভাড়া করে আনা হতো দূরদূরান্ত থেকে। খেলা দেখতে বিভিন্ন এলাকার সর্বস্তরের লোকজনের ঢল নামতো।
শ্রীরামপুর ইউপি'র নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আজহার আলী মৃধা এই বাংলাদেশকে জানান, বর্তমানে বিভিন্ন কারনে ঐতিহ্যবাহী এ খেলাটি বিলুপ্তির পথে। যুব সমাজকে মাদকসহ মোবাইল আসক্তি থেকে বের করে আনতে এ খেলার বিকল্প নেই।এছাড়াও এ খেলাটির ইতিহাস ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে হলে ক্রিকেট ও ফুটবল খোলার মত জাতী পর্যায়ে সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া দরকার।