সুনামগঞ্জ-৩ আসনে টানা তিনবারের সংসদ-সদস্য পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী। প্রথমবার সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তার নগদ অর্থ প্রায় ১৭২ গুণ বেড়েছে। ২০০৮ সালে তার নগদ অর্থ ছিল মাত্র ২০ হাজার টাকা। বর্তমানে তার নগদ ৩৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫১ টাকা। তবে তার জমির পরিমাণ কমেছে। তার হলফনামা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ১৫ বছরে মান্নানের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জমা টাকা ১১ গুণ বেড়েছে। বর্তমানে ব্যাংকে আছে ১ কোটি ১০ লাখ ৭৯ হাজার ৪২৮ টাকা। ২০০৮ সালে ব্যাংকে ছিল ১০ লাখ টাকা। পোস্টাল, সেভিংস ও সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রের বা স্থায়ী আমানতে তার বিনিয়োগ ৬০ লাখ টাকা। অন্যসব (আইসিবি, এএমসিএল ইউনিট ফান্ড) খাতে ১৫ লাখ ১ হাজার ৫৬০ টাকা। এছাড়া গাড়ি, আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ইত্যাদিসহ তার ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৮৮ হাজার ৫ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। ২০০৮ সালে তার মোট অস্থাবর সম্পদ ছিল ৬৪ লাখ ২০ হাজার টাকার। ১৫ বছরে তার অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ৫ গুণ।
২০০৮ সালে মান্নানের মোট স্থাবর সম্পদ ছিল ৫ দশমিক ৩২ একরের কৃষি জমি, ১৩ শতক পুকুর, তিনটি আধাপাকা টিনশেড ঘর, শূন্য দশমিক ৪২ একরের বাড়ি, ঢাকার নিকুঞ্জ ও আশুলিয়ায় ৭ শতক জায়গা। বর্তমানে কৃষি জমি বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৩৪ একর। তিনটি টিনশেড আধাপাকা বাড়ি সরকারকে দান করায় তার আর কোনো বাড়ি নেই। ঢাকার নিকুঞ্জের ৩ শতক জমি বিক্রি করে দেওয়ায় বাকি আছে শুধু আশুলিয়ার ৪ শতক জায়গা। এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, হলফনামায় ছোটখাটো ভুল থাকলেও থাকতে পারে। তবে গত ১৫ বছরে বেতন বহির্ভূত উল্লেখ করার মতো আমার কোনো আয় ছিল না। নিজের পৈতৃক ভিটায় আমার যে অংশ ছিল, সেটি সরকারকে দান করেছি। তিনি বলেন, শান্তিগঞ্জের যে বাড়িতে আছি, এটি আমার ছেলে ও স্ত্রী কিনেছেন। ওখানে টিনশেডের বাড়ি করা হয়েছে। রাজধানীর নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকায় ৩ শতক জমি ছিল, সেটি বিক্রি করে পূর্বাচলে ১০ শতক জমি কেনা হয়েছে। এটি আমার ছেলে-মেয়ের নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়েছে। এমপি হওয়ার আগে কর্মজীবনে আশুলিয়ায় কেনা চার শতক জমি ছাড়া রাজধানীতে আমার কোনো সম্পদ নেই। গ্রামে কিছু জমি আছে।
Leave a Reply