এক হাজারের বেশি দাবানলে পুড়ছে কানাডা। দেশটির উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলগুলোতে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। পশ্চিমের ব্রিটিশ কলম্বিয়া থেকে পূর্বের কিউবেক পর্যন্ত ছড়িয়েছে এসব দাবানল। এসব অঞ্চলের বিভিন্ন শহর থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কানাডার উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলগুলোতে সক্রিয় আছে ২০০টির বেশি দাবানল। এসব এলাকার বিভিন্ন শহর ও বসতি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হাজার হাজার বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে ছুটছেন। অনেকেই রাস্তায় বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন। গাড়ি চালিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সময় দাবানলের মুখোমুখি হয়েছেন। অনেককেই জরুরি ফ্লাইটের জন্য ঘণ্টার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের রাজধানী ইয়েলোনাইফ থেকে প্রায় ২০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের আরও কয়েকটি বসতি থেকেও মানুষ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ অঞ্চলে ২৩৬টি সক্রিয় দাবানল রয়েছে। ইয়েলোনাইফ শহরের মাত্র ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে একটি বড় দাবানলের আগুন পৌঁছে গেছে। তবে শুক্রবার পর্যন্ত শহরে প্রবেশ করেনি আগুন। শহরের ফায়ার ইনফরমেশন অফিসার মাইক ওয়েস্টউইক শুক্রবার সন্ধ্যায় ফোনে বার্তাসংস্থা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানান, আগুন শুক্রবার আর খুব একটা এগুতে পারেনি। এখনও শহরের উত্তর-পশ্চিমে ১৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা প্রতিকূল বাতাসের পূর্বাভাস পেয়েছিলাম। এর মধ্যে বৃষ্টি নেই। এক মাসেরও আগে বজ্রপাত থেকে লাগা দাবানলটি এক হাজার ৬৭০ কিলোমিটার বিস্তৃত। এই আগুনটি শিগগিরই নিভবে না বলে সতর্ক করেন তিনি। ওয়েস্টউইক বলেন, আমাদের সামনে এখনও কিছু কঠিন দিন রয়েছে। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। কানাডার হাজারের বেশি দাবানল থেকে ধোঁয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চলে গেছে। ক্ষতিকারক দূষণে বায়ুর গুণমান খারাপ হয়েছে। অনেকেই বলছেন কানাডার ইতিহাসে এত আগুন তারা দেখেননি। কানাডার পশ্চিম কেলোনা ফায়ার চিফ জেসন ব্রোলান্ড বলেন, গত রাত একটি বিধ্বংসী রাত ছিল। সম্ভবত আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। আমরা আমাদের সম্প্রদায়কে রক্ষা করার জন্য গত রাতে কঠোর লড়াই করেছি। এক রাতে একশ বছরের আগুনের সঙ্গে লড়েছি।
Leave a Reply