কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে ইজিবাইকে তল্লাশি চালিয়ে ৭০ হাজার পিস ইয়াবাসহ এক মাদক কারবাকিকে আটক করেছে র্যাব-১৫। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকালে কক্সবাজার র্যাব-১৫, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) শাখার মো. আবু সালাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আটক মাদক কারবারি টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ নয়াপাড়ার সৈয়দ করিমের ছেলে রেজাউল করিম (৪২)। মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে শাহপরীরদ্বীপ থেকে এক ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে করে (অটোরিকশা) কতিপয় ব্যক্তি ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে টেকনাফের দিকে যাচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিএসসি’র এক চৌকস আভিযানিক দল টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ থেকে জালিয়াপাড়া পাকা রাস্তার ওপর অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এ সময় একটি লাল রঙ এর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সন্দেহজনকভাবে কৌশলে চেকপোস্ট অতিক্রম করার চেষ্টা করে। এ সময় র্যাবের আভিযানিক দল রেজাউল করিম নামে একজন মাদক কারবারিকে আটক করে অটোরিকশাটি জব্দ করতে সক্ষম হয়। উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটক ব্যক্তির দেহ ও অটোরিকশা তল্লাশি করে অটোরিকশার সামনের সিটের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় সর্বমোট ৭০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। র্যাবের আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পূর্বেই এক মাদক কারবারি পালিয়ে যায়। আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি এবং পলাতক আসামি দীর্ঘদিন ধরে অটোরিকশা চালানোর আড়ালে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে। আটক ও পলাতক মাদক কারবারি ইয়াবা অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করতো। এরপর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে অভিনব কায়দায় টেকনাফ ও কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে আসছিল। তিনি আরও জানান, জব্দ করা ইয়াবাসহ আটক ও পলাতক মাদক কারবারির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।