ঈশ্বরদীতে আলোচিত ডাকাতি মামলার ৫ ডাকাত গ্রেফতার ও আলামত উদ্ধার
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:
পাবনার ঈশ্বরদীতে কৃষকের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার ১৩ দিনের প্রচেষ্টায় জড়িত ৫ আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্যদেরকে
গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতি হওয়া মালামালের কিছু অংশ। বুধবার দুপুরে ঈশ্বরদী থানার মিলনায়তন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম। ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত আটককৃত ডাকাত সদস্যরা হলেন, পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার মোকারামপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম শিপনের ছেলে মোঃ শিশির প্রামানিক (২২), পাবনা সদর থানার বড়দীঘশাইল (রয়েজ মোড় সংলগ্ন) গ্রামের সেলিম প্রামানিকের ছেলে মোঃ মাহাবুল আলী (৩৬), একই জেলার ভাঙ্গুরা থানার চৌবাড়িয়া (হারুপাড়া) গ্রামের আফসার আলীর ছেলে মোঃ হাসিনুর রহমান হাসু (২৪), জেলার আতাইকুলা থানার বামনডাঙ্গা গ্রামের মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে মোঃ মোমিন (৩৩) এবং আতাইকুলা থানার সাদুল্লাপুর (সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন) গ্রামের খোকন জমাদ্দারের ছেলে মোঃ সবুজ জমাদ্দার (২২)। প্রেস ব্রিফিং ও মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ৫-৬ জনের একটি ডাকাতদল ঈশ্বরদী থানার মোকারামপুর দক্ষিণপাড়ার ইদ্দিস আলীর ছেলে কৃষক বাবুল হোসেনের বাড়ির দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে। বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ও কুপিয়ে জখম করে। পরে তাদের নিকট থেকে স্বর্ন ও রুপার গহনা, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। ডাকাতির ঘটনাটি ঈশ্বরদীতে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পাবনা পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতীপ্রাপ্ত) মোঃ আকবর আলী মুন্সির সার্বিক দিক নির্দেশনায় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলমের তত্বাবধানে, ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোম্বামী এর নেতৃত্বে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঈশ্বরদী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) হাসান বাসিরসহ থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম ডাকাতি মালামাল ও ঘটনার সাথে জড়িত ডাকাত দলকে গ্রেফতারের লক্ষে গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির ভিত্তিতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আন্তঃজেলার ডাকাত সদস্যদেরকে গ্রেফতার করেন। ঈশ্বরদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতরা সবাই আন্তঃজেলার সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা পাবনা জেলাসহ পাশ্ববর্তী জেলাসমূহে ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পাবনা জেলার বিভিন্ন থানায় মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের মামলা রয়েছে যা আদালতে বিচারাধীন আছে। আটকৃতদের পাবনা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।