ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র করছে দুষ্কৃতকারীরা। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে একের পর এক কান্ড ঘটিয়ে যাচ্ছে। গত (১৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের কন্ঠ সদৃশ একটি অডিও ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ অডিওতে মঈন নামের এক ঠিকাদের অর্থ লেনদেনের সংক্রান্ত আলাপন করতে শোনা যায়।
তবে সেই মঈন আবার গত ১৫ মার্চ আরেকটি ফোনলাপে এসব কিছু অস্বীকার করেছে। এরকম একটি ফোনলাপ ফেসবুকে আসছে। অডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়ছে, শুনুন কন্সালটেন্ট এর ফোনালাপ, তিনি কাউকে টাকা দেন নাই। কিছু মহল বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রমে বাধ সাধার জন্য অপপ্রচারে লিপ্ত। আল্লাহ সকলকে হেদায়েত দান করুন, আমিন। এ অডিওতে শুধুমাত্র ঠিকাদারের কন্ঠ শোনে গেছে। অন্যপক্ষের কোনো কণ্ঠ শোনা যায়নি।
অডিওতে ঠিকাদার বলেন, শোনেন আমিত সবাইরেই টাকা সাধছিলাম। সত্য কথা বলতে কি আমিত কুষ্টিয়াতে কাউরে টাকা দেয়নি। আমি সবাই টাকা সাধছিলাম। পিডিরে সাধছিলাম। পিডি বললো না এখানে কিসের টাকা নিয়ে বলবা। আমার এখান আসছে যখন বলবা যখন কাজ তাজ হবে তখন দেখা যাবে এখন কিসের টাকা নিবো কও।
আপনারা নিশ্চিত থাকেন আমি কোন টাকা পয়সা দিই নাই কাউরে। আমার পিড়াপিড়িতে উনি বলছিলো ঠিক আছে, এতই যদি শখ আপনার টাকা দেওয়ার উন্নয়ন রুল দিবোনে ওখানে দিয়ে দিয়েন। পরেত অ্যাকাউন্ট নম্বর দেয়নি উনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, এসব কিছুই হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য। একটা মহল আছেন রেজিস্ট্রার হতে চায়। তাই ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র করছে চক্রটি। তার জন্য তারা নানান কিছু এডিট করে প্রকাশ করেছে। তাতে কোনো লাভ হবে না। কারণ মিথ্যা জিনিস দিয়ে আগানো যায় না। ঠিকাদার কোনো টাকা দেয়নাই, সেরকম একটা অডিও কিন্তু আমরা দেখতে পেয়েছি।
আরেক কর্মকর্তা যোগ করে বলেন, রেজিস্ট্রার ভালো কাজ করতেছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এটা একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে বেকায়দায় ফেলানোর পরিকল্পনা। এর থেকে আমাদের সবার সতর্ক থাকা উচিত।
Leave a Reply