গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রায় ১১শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকি এবং আয়কর সংক্রান্ত ১২ মামলা শুনানির জন্য আগামী ৩০ মে দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন সরদার জিন্নাত আলী। এর আগে গত ৭ মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পক্ষ থেকে হাইকোর্টকে জানানো হয়, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে ১১শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, ২০১২-১৭ সাল পর্যন্ত সরকারের পাওনা অর্থগুলোর মধ্যে একটি হলো গ্রামীণ কল্যাণের ৫৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ৫৭ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। গ্রামীণ কল্যাণের আরেকটিতে ৩৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৭ টাকা এবং গ্রামীণ টেলিকমের একটিতে সরকারের পাওনা ২১৫ কোটি টাকা। এর আগে ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ১১শ’ কোটি টাকার আয়কর রিটার্নের মামলা চালুর জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। নোবেল বিজয়ী এ অর্থনীতিবিদের ব্যক্তিগত এবং তার প্রতিষ্ঠিত ৯টি প্রতিষ্ঠানের কর সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে এনবিআরের কাছে চিঠিও দিয়েছিল দুদক। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এনবিআরের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সংশ্লিষ্ট সার্কেল এবং জরিপ দপ্তরকে মৌখিক নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে ড. ইউনূসের কর ফাঁকি ও আয়কর সংক্রান্ত ১২টি মামলা হাইকোর্টে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। গত ৯ মে এসব মামলা দ্রুত শুনানির জন্য হাইকোর্টের এই বেঞ্চে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানির দিন ধার্য করা হলো।