দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে আখেরি মোনাজাতের মধ্যে রোববার শেষ হয়েছে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। মোনাজাত শেষে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান থেকে ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে। তিল ধারণের ঠাঁই নাই ট্রেনে, বাসে। সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় হেঁটে পথ চলাচল করছেন মুসল্লিরা। কারও পিঠে ব্যাগ, কারও মাথায় বিছানাপত্র। মানুষের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা খুবই কম। অনেক মুসল্লি ভ্যান, পিকআপ ও ট্রাকে চরে রওনা হয়েছেন। আবার যানবাহন না পেয়ে অনেক হেঁটেই রওনা দিয়েছেন। রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার পর মোনাজাত শেষে ময়দানের আশপাশের সড়কগুলোতে বেড়ে যায় মুসুল্লিদের ভিড়। টঙ্গী সড়কের আব্দুল্লাহপুর, স্টেশন রোড, আব্দুল্লাহপুর স্লুইসগেট ও কামারপাড়াসহ ময়দানের চারপাশে সড়কে মুসুল্লিদের ঢল নেমেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আখেরি মোনাজাত শেষে আমিন আমিন ধ্বনিতে কম্পিত হয় পুরো ইজতেমার ময়দান ও আশপাশ। মুসল্লিদের চলাচল শুরু হয়। শান্ত পরিবেশ ব্যস্ত হয়ে ওঠে। ময়দানের ভেতর থেকে মুসল্লিরা বের হতে শুরু করেন। কেউ কেউ নিজেদের ব্যাগ ও সামান পিঠে, হাতে, ঘাড়ে ও মাথায় নিয়ে বের হতে থাকেন। এদিকে সড়কে নিমিষেই পরিপূর্ণ হয়ে যায় জনসমুদ্রে। এছাড়া ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে এসেছিলেন লাখো মুসল্লি। মোনাজাত শেষে তারা হেঁটে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করছেন।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ফ্লাইওভারের নিচে বসে মোনাজাতে অংশ নেয় জাহিদুল রহমান। তিনি বলেন, রামপুরা-বনশ্রী থেকে ফজরের নামাজের পর রওয়ানা হয়েছিলাম। সকাল সাড়ে ৮টায় এখানে হেঁটে পৌঁছেছি। মোনাজাতে অংশ নিয়েছি। এখন বাড়ি ফিরে যাব৷ সকালে আজমপুর পর্যন্ত বাসে আসতে পেরেছি। এরপর থেকে হেঁটে এখানে আসি। এখনে আবার হেঁটে রওয়ানা দেব। গাড়ি পেলে চলে যাব। এদিকে, বিশ্ব ইজতেমা ও আখেরি মোনাজাত ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। র্যাব, পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), গোয়েন্দা পুলিশসহ (ডিবি) বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।