বগুড়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে মারধরের ঘটনায় সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সোমবার (১ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বাকি পাঁচজন সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। তবে তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মঙ্গলবার ভোরে গ্রেফতার মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ ছয়জনকে বগুড়া ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মিনহাদুজ্জামন লিটন সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বগুড়া-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী সাহদারা মান্নানের ভাই।
এর আগে রোববার দিবাগত রাতে ওই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল মার্কার কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমানের সমর্থক রেজওয়ানুল রিজভীকে মারধরের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার পর সোনাতলার জোড়গাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে রিজভীর স্ত্রী নাহিদ নাসরিন সাথী বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামন লিটন ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মতিনসহ সাতজনকে আসামি করে হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, উপজেলা চেয়ারম্যান লিটনের নেতৃত্ব জোড়গাছার ভেলুরপাড়া চারমাথা এলাকায় আব্দুল মতিসহ ৭-৮ জন ব্যক্তি ঈগল মার্কার সমর্থক রিজভীর ওপর হামলা চালায়। তাকে হত্যার উদ্দেশ্য লাঠিসোটা দিয়ে মারধর ও মাথায় গুরুতর আঘাত করা হয়। র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু সংলগ্ন ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়।
Leave a Reply