লালমনিরহাট জেলার পৌরসভার অধিকাংশ ফুটপাত দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এতে পথচারীদের পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। বছরের পর বছর এ অবস্থা চললেও পৌর কর্তৃপক্ষ ফুটপাত দখলমুক্ত করার কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর।লালমনিরহাট পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ১৯৭২ সালে লালমনিরহাট পৌরসভা গঠন করা হয়। । এতে ৯টি ওয়ার্ড আছে। পৌরসভার মোট আয়তন ১৭.৪০ বর্গকিলোমিটার। ২০০৫ সালে এটি দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় উন্নীত হয়। বর্তমানে পৌর এলাকার মিশন মোড় সহ অধিকাংশ সড়ক দখল করে দোকান করছে ফুটপাত দখল করে। এতে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীসহ পথচারীদের যাতায়াতের অত্যন্ত অসুবিধা হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায় পৌর এলাকার মিশন মোড় সংলগ্ন সড়ক, রেলবাজার রোড, বিডিআর রোড, মোগল হাট রেলগেট মোড়, হাসপাতাল রোড সহ লালমনিরহাট পৌর বাজারসংলগ্ন সড়কগুলো ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও দোকানদার সামনের ফুটপাত দখল করে রেখেছে। কেউ বেঞ্চ বসিয়ে আবার কেউ দোকানের মালামাল ফুটপাতের ওপর রেখে রাস্তায দখল করে রেখেছেন। অন্যদিকে মিশন মোড় ও রেলগেইট এলাকায় ফলের দোকান বসিয়ে ফুটপাতজুড়ে চালাচ্ছে বেচাকেনা।
মিশন পাড়া এলাকার গৃহিণী লাকী ব্যানাজী, নাসিমা বেগম ও মৌসুমী আক্তার অভিযোগ করেন, এমনিতেই রাস্তাগুলো অপ্রশস্ত সেখানে ভ্যান, অটোরিকশা আর মোটরসাইকেল রাস্তার ওপরই রাখা থাকে। ফুটপাত দিয়েও হাঁটার উপায় নেই। ফুটপাতগুলো দোকানিরা দখল করে রেখেছেন। চলাচলে দারুণ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। মিশন মোড়ের বাসিন্দা ঈসমাইল জানান ফুটপাতে ফুলের দোকান থাকার কারণে স্কুলের ছাত্র ছাত্রী যাতায়াত করতে প্রচণ্ড অসুবিধা হয়। তাঁরা অভিযোগ করেন, পৌর কর্তৃপক্ষ পৌরবাসীর স্বার্থ না দেখে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখে। তাই দিনের পর দিন এ অবস্থা চললেও পৌর কর্তৃপক্ষ ফুটপাত দখলমুক্ত করতে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না।ফুটপাত দখল করে দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালানো অন্তত ১০ জন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের মধ্যে ফুলের দোকানদার খোকন, পানের দোকানদার সিদ্দিক ও বৈদ্যুতিক পণ্যসামগ্রী বিক্রেতা রমজান বলেন, দোকানের জায়গা সীমিত। তাই বাধ্য হয়েই দোকানের সামনের ফুটপাতে তাঁরা মালামাল রাখেন। তবে তাঁরা স্বীকার করেন, এভাবে ফুটপাত আটকে রাখাটা তাদের ঠিক হচ্ছে না। ফল বিক্রেতা আলামিন ও রবি বলেন পৌর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁদের সরে যেতে বলে তখনই তাঁরা সরে যান। তারপর আবার বসেন। জীবিকার তাগিদেই এ কাজ করেন বলে জানান এ দুই ফল বিক্রেতা।
এ বিষয়ে পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময়ে মাইকিং করে ফুটপাতে বসা দোকানিদের ফুটপাত ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিই। ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে এক-দুই মাস পরপরই অবৈধ দোকান উচ্ছেদও করি। এটি আমাদের চলমান প্রক্রিয়া।
Leave a Reply