মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে বলাৎকারে শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া মো. রাফি (১৩) নামের হাফিজি মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
রাজধানীর মহাখালী জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (২৫ আগষ্ট) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজলার ৯নং নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামের মদিনাতুল উলুম কওমি হাফিজিয়া ও নূরানী কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসার শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো. সেলিম গাজীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ।
সূত্র জানায়, নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডের মো. রেজাউল মীরা’র ছেলে মো. রাফি ২ বছর আগে একই এলাকার ওই মাদ্রাসায় হাফিজি বিভাগে ভর্তি হয়। গত ৮ মাস আগে মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে নিয়ে পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটা শিক্ষা সফরে যান শিক্ষক সেলিম গাজী। সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে রাত্রি যাপন করেন তারা। এ সুযোগে সেলিম গাজী কুপ্রস্তাব দেন রাফিকে। এতে রাফি রাজি না হওয়ায় নানা ধরণের ভয়ভীতি দেখান তিনি। এক পর্যায় জোর করে রাফিকে বলাৎকার করেন ওই শিক্ষক। তারপর মাদ্রাসায় ফিরে প্রায়ই তাকে বলাৎকারের শিকার হতে হয়েছিল। এতে রাফি ২ সপ্তাহ আগে অসুস্থ হয়ে পড়লে উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। ওই চিকিৎসায় সুস্থ না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাফিকে গত ১৩ আগষ্ট রাজধানীর মহাখালী জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাফির মলধারে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
রাফির বাবা রেজাউল মীর বলেন, আমার ছেলেকে লেখাপড়া করার জন্য মাদ্রাসায় পাঠিয়েছি। সে কেন বলাৎকারের শিকার হবে? ঢাকায় চিকিৎসা চলাকালীন সময় বলাৎকার শিকার হয়েছিল বলে রাফি আমাকে জানিয়েছিল। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। যাতে আমার মত আর কোন বাবার সন্তান এভাবে মারা না যায়।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এটিএম আরিচুল হক এই বাংলাদেশকে বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply