স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আলমগীর কবীর (৩৫) নামের একজনকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন এবং তাঁর বোন মিম খাতুন ওরফে মর্জিনাকে (৩০) হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার (২১শে আগস্ট) রাত ৮টার দিকে পৌরশহরের মোহাম্মদপুর এলাকার বাড়ি থেকে তাদেরকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। নিহত মিম দর্শনা পৌরশহরের মোহাম্মদপুর এলাকার মৃত আরমান আলীর মেয়ে এবং সুরুজ মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় দর্শনা থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিন আল আজাদ এবং সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানাসহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। রহস্য উদঘাটনে সিআইডি, পিবিআই, ডিবিসহ পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছেন।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৮টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত দর্শনা পৌরশহরের মোহাম্মদপুর এলাকায় আলমগীর কবীরের বাড়িতে প্রবেশ করে জোরপূর্বক তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় আলমগীরের চিৎকার শুনে তাঁর বোন মিম বাঁধা দিলে তাদের দুই ভাই-বোনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তুলে নিয়ে যাওয়ার পর আলমগীরকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করা হয়। পরবর্তীতে আলমগীরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও রাতভর তাঁর বোনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায় না। সকালে বাড়ির অদূরের একটি বেগুন ক্ষেতে মিমের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে বাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এদিকে আলমগীর কবীরের সাথে মনোয়ারা আক্তার সাথী নামে এক নারীর কথোপকথন নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেছেন আলমগীর কবীর। সেখানে ওই নারী আলমগীর কবীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ নানাধরনের হুমকিধামকি দিচ্ছেন। পূর্ববিরোধের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী আলমগীর কবীর নানা কারণে বিতর্কিত একজন ব্যক্তি।
Leave a Reply