গত দুই বছরে পাল্টে গেছে পাটগ্রাম পৌরসভার চিত্র

কামরান হাবিব, রংপুর প্রতিনিধ ।। পরিকল্পিত টেকসই উন্নয়নের মডেল পৌরসভা বিনির্মাণে সকলের সহযোগিতা চাইলেন পাটগ্রাম পৌর মেয়র মোঃ রাশেদুল ইসলাম সুইট। ২০২১ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবসে অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে পৌরবাসীর সর্বাত্মক সমর্থনে তিনি নৌকা মার্কার মনোনিত প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে তিনি পাটগ্রাম যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সাংগঠনিক মেধা দক্ষতার আত্নপ্রকাশ তার সফলতার অন্যতম সিঁড়ি। আওয়ামী লীগের জন্মলগ্ন থেকেই তার পূর্বপুরুষ ও পরিবারের অবদান অতুলনীয় । বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ভাবনার বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে এই পরিবারের সদস্যদের পথচলা। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত পাটগ্রাম পৌরসভাটি সঠিক নেতৃত্বের অভাবে ছিলো ঋণে জরাজীর্ণ, উন্নয়ন বঞ্চিত। এই পৌরসভাটির দায়িত্বভার নিয়ে অনেকটা বেকায়দায় পড়েন মেয়র রাশেদুল ইসলাম সুইট। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই করোনা ও বিশ্ব অর্থনীতির মন্দা পরিস্থিতির অস্থির বাজার ব্যবস্থানার কারনে মুখথুবড়ে পরে উন্নয়ন কার্যক্রম। পাটগ্রাম পৌরসভা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন ঋণগ্রস্ত পৌরসভাটিকে আপাতত ঋণ মুক্ত করা হয়েছে। দুর্নীতি মুক্ত সচ্ছ জবাবদিহিতার পৌর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নাগরিক সেবার মান উন্নয়ন ও বেকার যুবকদের কর্মস্থানের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা জরুরি সমস্যা গুলো সমাধান করেছি। এলজিইডি’র অধিন ইউআইআইপি প্রকল্পের আওতায় হাতে নেওয়া হয়েছে আরো ১ শত ৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম যা ধাপেধাপে করা হবে। পৌর এলাকার প্রতিটি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষে আমাদের পথচলা।তিনি বলেন আমি গণমানুষের ভালবাসায়, ভালবাসা দিবসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করি।কাজের মাধ্যমে এই জয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সকলের দোয়া ও সহযোগীতা চাই।
সেই লক্ষ্যেই আমার কর্ম পরিকল্পনা চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে শহরের অলিগলি, রাস্তা ঘাট, বসতবাড়িতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা হয়েছে ।
পৌর এলাকার শতভাগ বিদ্যুতায়ন, সড়ক বাতি ও বৈদ্যুতিক খুঁটি আলোকসজ্জা, স্বাস্থ্য সেবা, অক্সিজেন সেবা, সাপ ও কুকুর কামড়ে ভেকসিকন সেবা, ভ্রাম্যমান বক্স ডাষ্টবিন স্থাপন, সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার, ড্রেন নির্মাণ ও সংস্কার, জরুরি সেবায় হট লাইন , অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এছাড়াও পৌর এলাকার পিছনে পড়ার জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারের গৃহীত বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, ভিজিএফ, টিসিবি সহ অন্যান্য সেবাসসমূহ নিশ্চিত করা হয়েছে । দ্রুততম সময়ে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে
জন্মনিবন্ধন, মৃত্যু সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, পৌর কর, ভূমি কর সহ যাবতীয় সেবা নিশ্চিত করা পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করাে হয়েছে । অপরদিকে পৌর টার্মিনাল, গরুরহাট, পৌর মার্কেট সহ প্রতিটি ওয়ার্ডের কেন্দ্রীয় কবরস্থান গুলো সংরক্ষণে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মান সহ বিভিন্ন স্থানে দৃষ্টিনন্দন কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে ।
পৌর শিশু পার্ক, জরুরি স্বাস্থ্য সেবায় পৌর ক্লিনিক স্থাপন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নতকরণ সহ
নারীদের কর্মসংস্থা, বেকার যুবকের কর্মসংস্থান, বৃক্ষ রোপন, নদী খনন, বাঁধ নির্মাণ, সেতু নির্মাণ , স্টেডিয়াম সংস্কার ছাড়া বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এছাড়াও স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেনের আন্তরিকতায় ক্রমেই বদলে যাচ্ছে পাটগ্রাম পৌরসভার উন্নয়ন চিত্র। পৌর মেয়রের ২য় বছর পূর্তিতে পাটগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতা মকবুল হোসেন বলেন পৌরসভার টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পৌর মেয়র সহ কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক হতে হবে। তবে সচেতন মহলের অনেকেই মনে করেন তরুণ এই যুব নেতার হাত ধরেই পরিকল্পিত উন্নয়নের পাটগ্রাম পৌরসভা ইতিমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে পৌর মেয়রের ২য় বছর পূর্তি উপলক্ষে পাটগ্রামের আলেম সমাজ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তার কৃতকর্মের জন্য শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে। পৌরসভার চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সায়েদুজ্জামান সাঈদ বলেন বাজার ব্যবস্থাপনাকে সাজিয়ে তুলতে ফুটপাত উচ্ছেদ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম চলমান, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণ সহ ৩৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আধুনিক মানের পাবলিক টয়লেট নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন, চালু রয়েছে কুয়েতি প্রকল্প। ভালো সমন্বয় থাকার কারণে খুব সহজেই সমস্যা গুলোর সমাধান নিশ্চিত হচ্ছে। আমরা তাঁর সফলতা কামনা করছি।