রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধিভুক্ত ইনস্টিটিউট অব বায়োসায়েন্সে ক্লাস-পরীক্ষাসহ যাবতীয় শিক্ষা কার্যক্রম সচল ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিভাগের পরিচালকদের গাফিলতির জন্য বন্ধ রয়েছে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম। নিয়মিত ভর্তি ফি, ল্যাবসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি নিলেও একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়নি।

মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের স্থগিত থাকা ব্যবহারিক পরীক্ষা চালু, পরিচালকদের (ড. এফ এম আলী হায়দার ও ড. হাফিজুর রহমান) অপসারণ করে নতুন পরিচালনা পরিষদ গঠন, শিক্ষক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করে স্বাভাবিক ক্লাস কার্যক্রম শুরু ও ও শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান।

মাহমুদ হাসান নামের এক শিক্ষার্থী জানান, সেমিস্টার ফি দিয়ে আমরা লেখাপড়া করি। প্রতি ছয় মাস পরপর ২৮ হাজার টাকা ফি দিচ্ছি। চারমাস ধরে আমাদের সব ক্লাস, পরীক্ষা স্থগিত হয়ে আছে। আমাদের শিক্ষকদের ঠিকঠাক বেতন দেওয়া হয় না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী সালমান শান্ত বলেন, ৩০০ শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে। অনেকের বাড়ি থেকে বলে দিয়েছে প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে তোমাদের আর পড়াশুনা করতে হবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব বায়োসায়েন্স পরিচালক ও বোটানি উদ্ভিদ বিজ্ঞান অধ্যাপক ড. এফ এম আলী হায়দার ফোন ধরে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।